সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের নিয়ম কার্যকর হলে পদ হারাবেন যারা

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ‘ক্রীড়া সংস্থায় এক পদে দুই মেয়াদের বেশি নয়’ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে ক্রীড়াঙ্গনের প্রায় দুই ডজন সংগঠককে বর্তমান পদ ছাড়তে হবে। বাংলাদেশের বয়স ৫৩ বছর। এদিকে কয়েকজন আছেন যারা ২৭ থেকে ৪৪ বছর ধরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা। সর্বাধিক ৪৪ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের তাবিউর রহমান পালোয়ান। এছাড়া হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ পদে আসাদুজ্জামান কোহিনুর আছেন ৩৩ বছর ধরে। তায়কোয়ানদো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদুল ইসলাম রানা আছেন ২৭ বছর ধরে আর ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু আছেন ২৩ বছর ধরে। দুই মেয়াদ ও তার চেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের মমিনুল হক সাঈদ, সাঁতার ফেডারেশনের এম বি সাইফ, অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু (পদত্যাগী), শ্যুটিং ফেডারেশনের ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, দাবা ফেডারেশনের সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, আরচারি ফেডারেশনের কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের আহমদে আসিফুল হাসান, বাস্কেটবলে

সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের নিয়ম কার্যকর হলে পদ হারাবেন যারা

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ‘ক্রীড়া সংস্থায় এক পদে দুই মেয়াদের বেশি নয়’ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে ক্রীড়াঙ্গনের প্রায় দুই ডজন সংগঠককে বর্তমান পদ ছাড়তে হবে।

বাংলাদেশের বয়স ৫৩ বছর। এদিকে কয়েকজন আছেন যারা ২৭ থেকে ৪৪ বছর ধরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা। সর্বাধিক ৪৪ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশনের তাবিউর রহমান পালোয়ান।

এছাড়া হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ পদে আসাদুজ্জামান কোহিনুর আছেন ৩৩ বছর ধরে। তায়কোয়ানদো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদে মাহমুদুল ইসলাম রানা আছেন ২৭ বছর ধরে আর ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু আছেন ২৩ বছর ধরে।

দুই মেয়াদ ও তার চেয়ে বেশি সময় দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন- বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের মমিনুল হক সাঈদ, সাঁতার ফেডারেশনের এম বি সাইফ, অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু (পদত্যাগী), শ্যুটিং ফেডারেশনের ইন্তেখাবুল হামিদ অপু, দাবা ফেডারেশনের সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, আরচারি ফেডারেশনের কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের আহমদে আসিফুল হাসান, বাস্কেটবলের অভিজিৎ কুমার (এ কে) সরকার, বক্সিংয়ের মাজহারুল ইসলাম তুহিন, উশুর মো. দুলাল হোসেন, রোইংয়ের হাজী মো. খোরশেদ আলম, খো খো ফেডারেশনে ফজলুর রহমান বাবুল, রাগবির মোসুম আলী, মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের হাসান উজ জামান মনি, বাশাআপ অ্যাসোসিয়েশনের খালেদ মনসুর চৌধুরী, বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের আমিনুল ইসলাম লিটন ও আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানদো অ্যাসোসিয়েশনের সোলায়মান শিকদার।

সাধারণ সম্পাদকের চেয়ার ছাড়তে হলেও তাদেরকে ফেডারেশন নাও ছাড়তে হতে পারে। কারণ, ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, কেউ চাইলে অন্য পদে থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

ফেডারেশনের সভাপতি যেহেতু সরকার নিয়োগ দিয়ে থাকে, তাই বর্তমান সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে যাদের যোগ্য মনে করবে ক্রীড়া প্রশাসন তাদের অন্য পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দিতে পারে।

এটা তো গেলো সাধারণ সম্পাদকের হিসেবে। অনেকেই আছেন সহ-সভাপতি, ট্রেজারার ও সদস্য পদে যুগযুগ ধরে আছেন। ফেডারেশনে থাকতে হলে সবারই পদ পদলাতে হবে।

তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সার্কুলেশন জারি করার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে এক পদে দুই মেয়াদের বেশি না থাকার নিয়ম নতুন আইন থেকে নাকি আগের হিসেব থেকে ধরা হবে। সেটা কোন কোন পদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে তাও স্পষ্ট হবে।

যদি নতুন আইন প্রনয়নের পর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়, তাহলে ৪৪ বছর দায়িত্ব পালন করা তাবিউর রহমান পালোয়ানেরও আরো মেয়াদ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা থাকবে না।

আরআই/এমএইচ/