সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি হজ করেছেন ২০১৭ সালে, ২০০৯-তে সবচেয়ে কম

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করেছেন ২০১৭ সালে। অন্যদিকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন। ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর (২০২৪) পর্যন্ত বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ও হজে গমনকারী হজযাত্রীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে এরমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হজ বন্ধ ছিল। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটাও ছিল এটি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, গত ১৫ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে কম বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ছিল ৬৫ হাজার। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালে ৭৫ হাজার কোটার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন ৯১ হাজার ৩৮৪ জন। ২০১১ সালে এক লাখ ২০ হাজার কোটার বিপরীতে এক লাখ ৭ হাজার ৩৭২ জন বাংলাদেশি হজ করেন। ২০১২ সালে কোটা একই থাকলেও হজ পালন করেন এক লাখ ১২ হাজার ৬৮০ জন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের কোটা বেড়ে হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে ৮

সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি হজ করেছেন ২০১৭ সালে, ২০০৯-তে সবচেয়ে কম

গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করেছেন ২০১৭ সালে। অন্যদিকে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে কম হজযাত্রী সৌদি আরব গেছেন।

২০০৯ সাল থেকে চলতি বছর (২০২৪) পর্যন্ত বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা ও হজে গমনকারী হজযাত্রীর সংখ্যা প্রকাশ করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে এরমধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হজ বন্ধ ছিল।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করেন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটাও ছিল এটি। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, গত ১৫ বছরে এটি ছিল সবচেয়ে কম বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ছিল ৬৫ হাজার।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালে ৭৫ হাজার কোটার বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন ৯১ হাজার ৩৮৪ জন। ২০১১ সালে এক লাখ ২০ হাজার কোটার বিপরীতে এক লাখ ৭ হাজার ৩৭২ জন বাংলাদেশি হজ করেন। ২০১২ সালে কোটা একই থাকলেও হজ পালন করেন এক লাখ ১২ হাজার ৬৮০ জন।

২০১৩ সালে বাংলাদেশের কোটা বেড়ে হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে ৮৯ হাজার ১৯০ জন হজ পালন করেন।

পরের বছর অর্থাৎ ২০১৪ সালে কোটা কিছুটা কমে হয় এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। কিন্তু হজ পালন করেন ৯৮ হাজার ৬৮৩ জন।

আরও পড়ুন

২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন এক লাখ ৬ হাজার ২৩৮ জন। ওই বছর বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ ৬ হাজার ৭৫৮ জন।

২০১৬ সালের হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন। ওই বছর হজযাত্রীর কোটা পূরণ হয়, অর্থাৎ এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জনই বাংলাদেশ থেকে হজ করেন।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার সুযোগ ছিল। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে কোটার চেয়ে ৪০৯ জন কম হজ পালন করেন।

২০১৯ সালেও কোটা আগের বছরের মতো ছিল। ওই বছর এক লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন হজ পালন করেন। কোটার চেয়ে হজযাত্রী কম ছিল ২৭৫ জন।

করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে হজ বন্ধ ছিল। করোনা মহামারির পর ২০২২ সালে সীমিত পরিসরের হজে বাংলাদেশের কোটা ছিল ৬০ হাজার জন। এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৫৯ হাজার ৯১৬ জন হজ পালন করেন।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২৩ সালের হজে বাংলাদেশের কোটা আগের মতো এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হয়। ওই বছর বাংলাদেশ থেকে হজ পালন করেন এক লাখ ২৩ হাজার ২১৮ জন। কোটার চেয়ে ৩ হাজার ৯৮০ জন কম হজ পালন করেন।

সর্বশেষ চলতি বছরও বাংলাদেশের হজের কোটা ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে এ বছর কোটার চেয়ে ৪১ হাজার ৯৪১ জন কম হজ পালন করেন। এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে হজ পালন করেন ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

গত ১৫ বছরে চলতি বছরের মতো কোটার চেয়ে এত কম হজযাত্রী আর হয়নি। আগামী বছরের হজেও বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বহাল থাকছে বলে এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

আরএমএম/কেএসআর/এমএস