মালয়েশিয়ায় লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলসের উদ্বোধন
মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলস ২০২৪। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার পর্যন্ত। সোমবার স্থানীয় সময় সকালে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) প্রচারে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেসব চ্যালেঞ্জসমূহ বিদ্যমান সেগুলোর সমাধান কল্পে স্থানীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, যথাযথ কর্ম প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে। এতে সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতারা অংশগ্রহণ করেন। মালয়েশিয়া সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলস (২০২৪) এর উদ্বোধনী বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান/ছবি- সংগৃহীত সোমবার সকালে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, পিএইচডি স্কলার এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের একটি দল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় অভ্যর্থনাকারী দলের মধ্যে উপস্থিত
মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলস ২০২৪। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মালয়েশিয়ার সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার পর্যন্ত।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি) প্রচারে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেসব চ্যালেঞ্জসমূহ বিদ্যমান সেগুলোর সমাধান কল্পে স্থানীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, যথাযথ কর্ম প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে। এতে সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
মালয়েশিয়া সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী লোকাল অ্যাকশন ফর গ্লোবাল গোলস (২০২৪) এর উদ্বোধনী বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান/ছবি- সংগৃহীত
সোমবার সকালে হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছালে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি অধ্যাপক, পিএইচডি স্কলার এবং স্নাতক শিক্ষার্থীদের একটি দল উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ সময় অভ্যর্থনাকারী দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এবং সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের (রিসার্চ সেন্টার ফর ন্যানো-ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড এনার্জি টেকনোলজির প্রধান) অধ্যাপক ডক্টর সাইদুর রহমান এবং ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও বিকিরণ প্রযুক্তি গ্রুপের অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন খন্দকার।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিইও অধ্যাপক দাতো এলিজাবেথ লি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবি এবং প্রোভাইস-চ্যান্সেলর মাহিন্দিরান নায়ের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণ/ছবি- সংগৃহীত
হাইকমিশনার বাংলাদেশি একাডেমিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, বিশেষত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অধ্যাপকদের অর্জন এবং গবেষণা খাতে তাদের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণায় এই ধরনের অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অব্যাহত সহযোগিতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বরোপ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজসেবী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যবসায়ী নেতাদের অংশগ্রহণ/ছবি- সংগৃহীত
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার শামীম আহসান বলেন, যুবসমাজকে উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ বাস্তবায়নের জন্য তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠায় তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি যুব-নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক উদ্যোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অধ্যাপক ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার’ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ছবি সংবলিত একটি উপহার হাইকমিশনারের হাতে তুলে দিচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন গ্রুপের সিইও অধ্যাপক দাতো এলিজাবেথ লি/ছবি- সংগৃহীত
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মালয়েশিয়া কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রশংসা করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে গভীর শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক সংযোগ গড়ে তুলতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অধ্যাপক ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার’ পরিদর্শনের সময় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ছবি সংবলিত একটি উপহার হাইকমিশনারের হাতে তুলে দিচ্ছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন গ্রুপের সিইও অধ্যাপক দাতো এলিজাবেথ লি/ছবি- সংগৃহীত
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে হাই কমিশনারের সৌজন্যে, সানওয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করে। এতে অংশগ্রহণ করেন সানওয়ে এডুকেশন গ্রুপের সিইও অধ্যাপক দাতো এলিজাবেথ লি। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডক্টর মাইন উদ্দিন খন্দকার, সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল বাশার ভূঁইয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টস এবং আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টস। মধ্যাহ্ন ভোজের পরে, সবাই সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত অধ্যাপক ‘ইউনূস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার’ ভিজিট করেন।
এমআরএম/জেআইএম