পুঁজিবাজারে মূলধন কমল সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা
সরকার পতনের পর থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন দিনকে দিন বাড়ছেই। এদিকে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে দরপতন কমল আরও সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যসূচকের...
পুঁজিবাজারে মূলধন কমল সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা
সরকার পতনের পর থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন দিনকে দিন বাড়ছেই।
বাণিজ্য
নিজস্ব প্রতিবেদকসরকার পতনের পর থেকে শেয়ারবাজারে দরপতন দিনকে দিন বাড়ছেই। এদিকে বিনিয়োগকারীদের আর্থিক লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে দরপতন কমল আরও সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে মূল্যসূচকের যেমন বড় পতন হয়েছে, তেমনি বড় অঙ্কে বাজার মূলধন কমেছে।
রোববার (৬ অক্টোবর) বাজার মূলধন কমেছিল ৫ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকার কিছুটা বেশি, দ্বিতীয় দিন কমল ৫ হাজার ২৪৩ কোটি টাকার কিছু বেশি।
আবার আগের সপ্তাহে সূচক ১৭৬ পয়েন্ট কমার প্রতিক্রিয়ায় বাজার মূলধন কমেছিল ১৩ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা, চলতি সপ্তাহের দুই দিনে ১২৭ পয়েন্ট সূচক কমার পর বাজার মূলধন কমল কাছাকাছি পর্যায়ে। লোকসান দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা কমে গেছে, তারা নতুন বিনিয়োগে যাচ্ছেন না, যে কারণে টানা তিন কর্মদিবস ধরে লেনদেন তিনশ কোটি টাকার ঘরে পড়ে আছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ৩৬৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, আগের দিন যা ছিল ৩৬৮ কোটি টাকা। ৫৩টি কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৮৮টির, আগের দিনের দরে হাতবদল হয়েছে ৫৫টির।
আগের দিন সূচক বেশি কমলেও ১৫৬টির দরপতনের বিপরীতে দর বেড়েছিল ১৮০টি কোম্পানির। তবে এদিন সকালের দিকে সূচকের উত্থান দিয়ে শুরু হওয়া লেনদেন মধ্যভাগেও ইতিবাচক ছিল। শেষ বেলায় বড় পতন হয়।
ডিএসইএক্স ৪৩ পয়েন্ট কমার দিন শরিয়াভিত্তিক কোম্পানিগুলোকে নিয়ে গঠিত শরিয়া সূচক এক পয়েন্ট এবং ব্লু চিপ হিসেবে পরিচিত কোম্পানিগুলোকে নিয়ে গঠিত ডিএস৩০ সূচক কমেছে ২২ পয়েন্ট। ২৮ কোম্পানিকে ‘জেডে’ পাঠানোর দিন থেকেই শুরু সর্বনাশের
পুঁজিবাজারে এই টানা দরপতন ঘটছে গত ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে। ঘোষিত লভ্যাংশ বিতরণ না করা, বার্ষিক সাধারণ সভা না করা, উৎপাদনে না থাকাসহ নানা কারণে সেদিন ২৮ কোম্পানিকে জেড শ্রেণিতে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। সেদিন থেকে ৮ কর্মদিবসেই সূচক কমল ৪০১ পয়েন্ট, বাজার মূলধন কমল ২৭ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা।
এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৪টির কর্তা ব্যক্তিদেরকে ডেকে নিয়ে বৈঠকও করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কিন্তু কোনো সুফল মেলেনি। পাশাপাশি ব্যক্তি শ্রেণির বেশ কজন বড় বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠানকে কারসাজির অভিযোগে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে, আলোচিত বেশ কয়েকজনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ হয়েছে।
এর মধ্যে পুঁজিবাজারে সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে দুই দিন সংলাপ করেছে বিএসইসি, তবে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। আর বিনিয়োগকারীরা নানাভাবে তাদের ক্ষোভ ঝাড়ছেন, বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ডাকও দেয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশ জার্নাল/আরএইচ