দেশে নতুন জুলুমবাজের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না: অধ্যক্ষ নুরুল আমিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, ‌বাংলাদেশে জুলুমবাজের পতন হয়েছে। নতুন জুলুমবাজের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না। এজন্য আমরা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফটিকছড়িতে পাইন্দং ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পাইন্দং ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নবীর হোসেন মাসুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী। অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের যে অর্জন, সেই অর্জন নস্যাৎ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ হতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের আর কোনো চক্রান্ত এ দেশের জনগণ সফল হতে দেবে না। দেশের পট পরিবর্তনে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে স্বস্তি এসেছে। পরবর্তীতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তারা যেন আগের মতো জালিম না হন। সবাইকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সব ধরনের

দেশে নতুন জুলুমবাজের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না: অধ্যক্ষ নুরুল আমিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেছেন, ‌বাংলাদেশে জুলুমবাজের পতন হয়েছে। নতুন জুলুমবাজের উত্থান ঘটতে দেওয়া হবে না। এজন্য আমরা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ফটিকছড়িতে পাইন্দং ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পাইন্দং ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি নবীর হোসেন মাসুদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক নুরুল আমিন চৌধুরী।

অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের যে অর্জন, সেই অর্জন নস্যাৎ করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল এই অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ব্যাপারে সতর্ক ও সজাগ হতে হবে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসরদের আর কোনো চক্রান্ত এ দেশের জনগণ সফল হতে দেবে না। দেশের পট পরিবর্তনে প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে স্বস্তি এসেছে। পরবর্তীতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আসবেন তারা যেন আগের মতো জালিম না হন। সবাইকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সব ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

‘স্বৈরাচারী সরকার পালাতে বাধ্য হলেও বিদেশে বসে এখনো ষড়যন্ত্রে অব্যাহত রেখেছে। এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রতিটি ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলুন।’

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন রক্তপিপাসু, খুনির বিদায় হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশে পরিবারতন্ত্র কায়েম করেছিল। আওয়ামী লীগের অনেককে পারিবারিক কারণে পদ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশের রাজনীতি পরিবারতন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। শুধু একদলীয় নয়, এক ব্যক্তির দিকে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল পলাতক স্বৈরাচারের।

ফটিকছড়িবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে ফটিকছড়ি আসন থেকে জামায়াতের প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সকলকে প্রস্তুত হতে হবে। এই লক্ষ্যে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে সকল স্তরে ইউনিট গঠন করতে হবে। নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে কাজ করে যেতে হবে। ফটিকছড়িবাসীর পক্ষে সৎনেতৃত্ব আপনারা তৈরি করে দেবেন।

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ফটিকছড়ি থানা জামায়াতের আমির মাস্টার নাজিম উদ্দীন সিকদার, সাবেক আমির মাওলানা নুরুল আলম আজাদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম পূর্ব জেলা সাহিত্য সম্পাদক শহিদুল ইসলাম আজিজী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম জেলা উত্তরের অফিস সহকারী এজহার মিয়া, ফটিকছড়ি থানা নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ইসমাইল গণি, থানা সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ, ছাত্রশিবির পূর্ব জেলার নেতা সাইরান কাদের চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

এএজেড/বিএ