কর্মস্থলে অনুপস্থিতি: খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ৭ নির্দেশনা

সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। কাউকে কাউকে অধিদপ্তর ও ঊর্ধ্বতন দপ্তরে অযথা ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেকের সই করা অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের সব পরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের এই আদেশের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, খাদ্য বিভাগীয় বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া অধিদপ্তর ও ঊর্ধ্বতন দপ্তরে অযথা ঘোরাফেরা করছেন। এতে করে সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে খাদ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়াসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা অসদাচরণের শামিল। খাদ্য বিভাগের চলমান কর্মসূচি ও জনসেবা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে সাত দফ

কর্মস্থলে অনুপস্থিতি: খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ৭ নির্দেশনা

সম্প্রতি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। কাউকে কাউকে অধিদপ্তর ও ঊর্ধ্বতন দপ্তরে অযথা ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল খালেকের সই করা অফিস আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। খাদ্য অধিদপ্তরের সব পরিচালক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের এই আদেশের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, খাদ্য বিভাগীয় বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী যথাযথ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া অধিদপ্তর ও ঊর্ধ্বতন দপ্তরে অযথা ঘোরাফেরা করছেন। এতে করে সেবা প্রত্যাশীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে খাদ্য বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়াসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করা অসদাচরণের শামিল।

খাদ্য বিভাগের চলমান কর্মসূচি ও জনসেবা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে সাত দফা নির্দেশনা দেওয়া হয় আফিস আদেশে। সেগুলো হলো-

১. নিয়ম অনুযায়ী খামালজাত খাদ্যশস্য ও গুদাম চত্বরে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা।

আরও পড়ুন

২. সংগ্রহ, প্রেরণ ও বিভিন্ন খাতে বিলি-বিতরণ কার্যক্রম নিয়ম ও বিধি মোতাবেক সম্পন্ন করা। দৈনন্দিন কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ডপত্র, রেজিস্টার ও অন্যান্য নথিপত্র হালনাগাদ রাখা।

৩. এলএসডি/সিএসডিসহ মাঠ পর্যায়ে দপ্তরগুলোর দৈনিক কার্যক্রম নিয়মিত হালনাগাদ রাখা।

৪. খাদ্য অধিদপ্তরের অধীন মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া খাদ্য অধিদপ্তরসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দপ্তরে আগমন-গমন থেকে বিরত থাকা।

৫. আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে নিয়মিত তদারকিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

৬. জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে নিয়মিত তদারকিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

৭. উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে নিয়মিত তদারকিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।

আরএমএম/কেএসআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow