কক্সবাজারে বন্যা, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাহাকার
টানা ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এতে কয়েকশ দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই স্থানে পাহাড় ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনজন এবং কক্সবাজারে তিনজন। কক্সবাজারের ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব রয়েছেন নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আর্তি পেশ করেছেন। নুরুল হামিদ কানন লিখেছেন, ‘আপনারা সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে যান! আর আমরা দেখি ওই সমুদ্রকে ঘিরে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। কক্সবাজারে অসংখ্য মাঝিমাল্লা ভেসে গেছে চলমান বন্যায়। চোখের পলকে স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে অসংখ্য জেলে পরিবারের। বহু পরিবারের শেষ উপার্জনকারী ব্যক্তিটি তলিয়ে গেছে সমুদ্রে। আল্লাহ্ সহায় হোন!’ হেমায়েত হোসেন লিখছেন, ‘কক্সবাজার পুরো পানির নিচে। এমন ভয়াবহ অবস্থা কখনো দেখেনি অত্র অঞ্চলের মানুষ।’ তারেক মাহমুদ লিখেছেন, ‘কক্সবাজারের বর্তমান অবস্থা, টানা বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে। সবাই
টানা ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজার শহরের বেশিরভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অন্তত ৩৫টি উপসড়ক বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। এতে কয়েকশ দোকানের মালামাল নষ্ট হয়েছে। হাজারো ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। দুই স্থানে পাহাড় ধসে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তিনজন এবং কক্সবাজারে তিনজন।
কক্সবাজারের ভয়াবহ এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব রয়েছেন নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আর্তি পেশ করেছেন।
নুরুল হামিদ কানন লিখেছেন, ‘আপনারা সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে যান! আর আমরা দেখি ওই সমুদ্রকে ঘিরে মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। কক্সবাজারে অসংখ্য মাঝিমাল্লা ভেসে গেছে চলমান বন্যায়। চোখের পলকে স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে অসংখ্য জেলে পরিবারের। বহু পরিবারের শেষ উপার্জনকারী ব্যক্তিটি তলিয়ে গেছে সমুদ্রে। আল্লাহ্ সহায় হোন!’
হেমায়েত হোসেন লিখছেন, ‘কক্সবাজার পুরো পানির নিচে। এমন ভয়াবহ অবস্থা কখনো দেখেনি অত্র অঞ্চলের মানুষ।’
তারেক মাহমুদ লিখেছেন, ‘কক্সবাজারের বর্তমান অবস্থা, টানা বৃষ্টিতে সব তলিয়ে গেছে। সবাই দোয়া করেন।’
অ্যাডভোকেট জুনাইদ শিবলী লিখেছেন, ‘কক্সবাজারে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বন্যায় শহরের ৯০ শতাংশ তলিয়ে গেছে। পাহাড় ধসে ৬ জনের মৃত্যু।’
রাশেদ উল্লাহ লিখেছেন, ‘ইন্নালিল্লাহ। কক্সবাজারে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ৬ জনের মৃত্যু। বন্যায় ৯০ শতাংশ তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া মাতৃভূমি কুতুবদিয়ায় অনেক বোট ডুবির ঘটনা ঘটছে। মহান আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করুন। আমিন।’
মোহাম্মদ ইলিয়াস লিখেছেন, ‘পরিবেশ ধ্বংস করার ফলাফল আমরা হাতেনাতে পাচ্ছি। গতকাল কক্সবাজারে ২৪ ঘণ্টায় ৫০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা সাম্প্রতিককালের রেকর্ড। জেলার প্রায় ৯০ ভাগ ভূমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ছুটির দিন হওয়ায় প্রচুর পর্যটক ছিলেন। যারা হোটেলে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। পাহাড়ে ভূমি ধসের ঝুঁকি তো রয়েছেই। ইতোমধ্যে এই আকস্মিক বন্যায় ৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে প্রয়োজনীয় ত্রাণ বা সহায়তা পৌঁছানো যাচ্ছে না। জেলার খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি দ্রুত নেমে যেতে পারছে না। সুতরাং দেশের নিয়মিত বন্যার পানি দ্রুত নিষ্কাশনের জন্য সকল নদী এবং খালগুলো খনন করা প্রয়োজন। এই সংস্কারের কাজ নিয়েও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ভাবতে হবে।’
মুহাম্মদ আবদুর রহমান লিখেছেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্যায় তলিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে ৬ জন পাহাড় ধসে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত মাসে বলেছিলাম সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আবার বন্যা আসছে। সেটা দ্বিতীয় সপ্তাহে এসেছে।’
এসইউ/জেআইএম