একবার ছেলের পক্ষে, আবার বিপক্ষে বলেন আজম খানের ‘নিরুপায়’ বাবা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে এক ম্যাচ খেলেন সুযোগ পেয়েছিলেন আজম খান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান স্থুল শরীরের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পরের ম্যাচেই বাদ পড়েন তিনি। এরপর পুরো টুর্নামেন্টে আর দলে জায়গা হয়নি আজম খানের। বিশ্বকাপে আজম খানকে মাত্র এক ম্যাচ সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটার বাবা মঈন খান। একজন ক্রিকেটারকে যদি এক ম্যাচ পরেই বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ভালো ক্রিকেটার পাবে না পাকিস্তান- এমনটি দাবি করছেন তিনি। বোর্ডের এমন অন্যায় আচরণের কারণে আজম খানের আত্মবিশ্বাস তলানীতে ঠেকেছে বলেও অভিযোগ করছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। মঈন বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকাপ এবং এর আগের ম্যাচগুলো দেখেছি। দেখে মনে হয়েছিল আজমই উইকেটকিপিং এবং ব্যাটিংয়ের জন্য এক নম্বর পছন্দ। তারপর হঠাৎ মাত্র একটি ম্যাচের পর পুরো কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজমকে এক ম্যাচের পর আর সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং (যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে) প্রথম বলেই আউট হওয়ার পর তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যেকোনো খেলোয়াড়ই প্রথম বলে আউ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে এক ম্যাচ খেলেন সুযোগ পেয়েছিলেন আজম খান। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যান স্থুল শরীরের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পরের ম্যাচেই বাদ পড়েন তিনি। এরপর পুরো টুর্নামেন্টে আর দলে জায়গা হয়নি আজম খানের।
বিশ্বকাপে আজম খানকে মাত্র এক ম্যাচ সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না ক্রিকেটার বাবা মঈন খান। একজন ক্রিকেটারকে যদি এক ম্যাচ পরেই বাদ দেওয়া হয়, তাহলে ভালো ক্রিকেটার পাবে না পাকিস্তান- এমনটি দাবি করছেন তিনি। বোর্ডের এমন অন্যায় আচরণের কারণে আজম খানের আত্মবিশ্বাস তলানীতে ঠেকেছে বলেও অভিযোগ করছেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
মঈন বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) বলেন, ‘আমি পুরো বিশ্বকাপ এবং এর আগের ম্যাচগুলো দেখেছি। দেখে মনে হয়েছিল আজমই উইকেটকিপিং এবং ব্যাটিংয়ের জন্য এক নম্বর পছন্দ। তারপর হঠাৎ মাত্র একটি ম্যাচের পর পুরো কৌশল পরিবর্তন করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজমকে এক ম্যাচের পর আর সুযোগ দেওয়া হয়নি এবং (যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে) প্রথম বলেই আউট হওয়ার পর তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যেকোনো খেলোয়াড়ই প্রথম বলে আউট হতে পারে। কিন্তু খেলোয়াড় গড়ে তোলার যে ঐতিহ্য, তা এখানে নেই। অধিনায়ক বা ম্যানেজমেন্ট যেই হোক, তারা যদি খেলোয়াড়দের এত দ্রুত পরিবর্তন করে তাহলে আমরা কীভাবে ভালো খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি?’
আজম খানের ফিটনেস নিয়ে প্রায় সময়ই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। স্থুল শরীর নিয়ে উইকেটকিপিং এবং ব্যাটিং করতে পারেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফিটনেসের প্রশ্নে বাবা মঈন আলি সরাসরি ছেলের দোষ দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে তিনি বলে দিয়েছেন যে, ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য আজম খান কোনো পরিশ্রম করেননি। যে কারণেই তার এমন অবস্থা।
মঈন খান বলেন, ‘আমি বলছি না যে সব দোষ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং অধিনায়কের। আজমেরও নিজস্ব ত্রুটি রয়েছে। তাকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজেকে শক্তিশালী করতে হবে এবং অন্যান্য খেলোয়াড়দের ফিটনেস রুটিন অনুসরণ করতে হবে।’
‘গত এক মাস আমি লক্ষ্য করেছি যে, সে (আজম খান) প্রশিক্ষক শেহজার মোহাম্মদের সঙ্গে ফিটনেস উন্নত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এমনকি তাকে ক্যারিবিয়ান (সিপিএল) লিগে নিয়ে গেছে। আমি আশা করি, আজম এই অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছে।’
আজম খানকে বিশ্বকাপে নেওয়ার পর পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটভক্ত বোর্ডের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন। তারা দাবি করেছেন, সাবেক ক্রিকেটার মঈন খানের ছেলে হওয়ার কারণেই খারাপ খেলেও জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছেন আজম। যদিও এই দাবির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
এমএইচ/এএসএম