অবশেষে ফুটবলে অবসান হতে যাচ্ছে সালাউদ্দিন যুগের

২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। ওই দিন নতুন সভাপতি পাবে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। নতুন (আগে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কেউই নির্বাচন করে বিজয়ী না হলে) সভাপতি এজন্যই পাবে, কারণ বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। কিছুদিন আগে কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, পঞ্চমবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। সে ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর। দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ হয়েছে। এমনকি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাও করা হয়েছিল। যেখানে পাওয়া যাবে কাজী সালাউদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই প্রায় দেড় মাস পর বিকেলের দিকে বাফুফে ভবনে আসেন কাজী সালাউদ্দিন এবং উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে দেন তিনি নির্বাচন করবেন না। শনিবার দেওয়া এই ঘোষণায় তিনি অটল থাকলে এটা নিশ্চিত যে, ২৬ অক্টোবরের পর আর বাফুফে সভাপতি থাকছেন না কাজী সালাউদ্দিন। দীর্ঘ ১৬ বছরের সালাউদ্দিন অধ্যায় শেষ হতে চলছে দেশের ফুটবলে। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন।

অবশেষে ফুটবলে অবসান হতে যাচ্ছে সালাউদ্দিন যুগের

২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। ওই দিন নতুন সভাপতি পাবে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। নতুন (আগে সভাপতির দায়িত্ব পালন করা কেউই নির্বাচন করে বিজয়ী না হলে) সভাপতি এজন্যই পাবে, কারণ বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

কিছুদিন আগে কাজী সালাউদ্দিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, পঞ্চমবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। সে ঘোষণা তিনি দিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর।

দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সালাউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে বাফুফে ভবনের সামনে মানববন্ধন, সভা-সমাবেশ হয়েছে। এমনকি তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাও করা হয়েছিল। যেখানে পাওয়া যাবে কাজী সালাউদ্দিনকে লাঞ্ছিত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই প্রায় দেড় মাস পর বিকেলের দিকে বাফুফে ভবনে আসেন কাজী সালাউদ্দিন এবং উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়ে দেন তিনি নির্বাচন করবেন না।

শনিবার দেওয়া এই ঘোষণায় তিনি অটল থাকলে এটা নিশ্চিত যে, ২৬ অক্টোবরের পর আর বাফুফে সভাপতি থাকছেন না কাজী সালাউদ্দিন। দীর্ঘ ১৬ বছরের সালাউদ্দিন অধ্যায় শেষ হতে চলছে দেশের ফুটবলে। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের কিংবদন্তি এই ফুটবলার দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনেরও (সাফ) সভাপতি দীর্ঘদিন ধরে।

নির্বাচন করবেন ঘোষণা দিয়েও তিনি কেন একদম হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন? সেটা পরিষ্কার করে বলেননি। তবে শনিবার তিনি যখন সংবাদমাধ্যমের সামনে আসলেন তখন বেশ বিষণ্নই দেখাচ্ছিল। মিনিট তিনেকের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলন শেষ করে তিনি সভাকক্ষ থেকে নিজেদের কক্ষে চলে যান। সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন তার কাছে গেলেও তিনি সবগুলোর জবাব দেননি।

১৯৮৪ সালে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেন কাজী সালাউদ্দিন। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি বাফুফের সঙ্গে কাজ করেছিলেন ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। নির্বাহী কমিটির সঙ্গে কাজের দ্বন্দ্বে তিনি চলে গিয়েছিলেন পদত্যাগ করে।

কঠিন এক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েই তিনি ২০০৮ সালে প্রথম সভাপতি হয়েছিলেন। সেই নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরী। সালাউদ্দিন জিতেছিলেন ৬২-৪৯ ভোটে। ২০১২ সালের নির্বাচনে তাকে ভোটের লড়াই করতে হয়নি। একক প্রার্থী হিসেবে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।

২০১৬ সালে তিনি তৃতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন কামরুল আশরাফ খান পোটনকে ৮৩-৫০ ভোটে হারিয়ে। ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তারই কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক ফুটবলার বাদল রায় এবং আরেক সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক। শেষবারই তিনি পেয়েছিলেন সবচেয়ে বেশি ৯৪ ভোট। বাদল রায় পেয়েছিলেন ৪০ ভোট আর শকিফুল ইসলাম মানিক ১ ভোট।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম